1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশপর্তুগাল

দাবানল প্রতিরোধের উপায় শিখছেন নারীরা

৮ মে ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বজুড়ে দাবানল বাড়ছে৷ নারী অগ্নিনির্বাপকদের একটি আন্তর্জাতিক দল সেই দাবানল প্রতিরোধের উপায় শিখছেন৷

https://p.dw.com/p/4fdiK
পর্তুগালের আইরিৎস বনে আগুন নেভাতে কাজ করছেন এক দমকলকর্মী
২০২২ সালে ইউরোপে রেকর্ডসংখ্যক দাবানলে প্রায় আট হাজার বর্গকিলোমিটার বন ও জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷ছবি: Melo Moreira/AFP/Getty Images

আগুন দিয়ে আগুনের সঙ্গে লড়াই৷ শুনতে পরস্পরবিরোধী মনে হতে পারে, এমনকি দেখতেও৷ কিন্তু একদল নারীকে সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে৷

এই ধরনের ‘নিয়ন্ত্রিত পোড়ানো ব্যবস্থা' বন্যভূমি ও বনকে সুস্থ রাখার হাতিয়ার৷ তবে এর মাধ্যমে অতিরিক্ত দাহ্য গাছপালাও পোড়ানো হয়, যা বড় দাবানল প্রতিরোধে সহায়ক হতে পারে৷

‘নিয়ন্ত্রিত' বা ‘নির্দিষ্ট স্থানে' আগুন লাগানোর কৌশল শিখতে এবং সে বিষয়ে দক্ষ হতে অগ্ননির্বাপকদের আন্তর্জাতিক একটি দল উত্তর পর্তুগালে জড়ো হয়েছিলেন৷ সেই দলের সবাই নারী৷

এটি ‘উইমেন-ইন-ফায়ার প্রেসক্রাইবড ফায়ার ট্রেনিং এক্সচেঞ্জেস' বা ডাব্লিউ-ট্রেক্সের ইউরোপে প্রথম প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ছিল

উইমেন-ট্রেক্সের পরিচালক লেনিয়া কিন-ডাভিডসন জানান, ‘‘নারীদের ক্ষমতায়নে ২০১৬ সালে আমরা ডাব্লিউ-ট্রেক্স শুরু করি৷ অগ্নি ব্যবস্থাপনায় ডাইভারসিটি আনাও আমাদের লক্ষ্য৷''

২০২২ সালে ইউরোপে রেকর্ডসংখ্যক দাবানল হয়েছে৷ প্রায় আট হাজার বর্গকিলোমিটার বন ও জমি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে৷

দাবানলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পর্তুগাল অন্যতম৷ জলবায়ু সংকটের কারণে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়তে থাকায় সমস্যাটি বছরের পর বছর আরও খারাপ হচ্ছে৷ পর্তুগালের এই সমস্যায় আরেকটি বিষয় মাত্রা যোগ করছে৷ সেটি হচ্ছে, অত্যন্ত দাহ্য ইউক্যালিপটাস বন৷ মূলত বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে এই গাছ লাগানো হয়৷

দাবানল বর্তমানে একটি ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক উদ্বেগ৷ সে কারণে অগ্নিনির্বাপণ এবং অগ্নি-ব্যবস্থাপনা- এই দুই বিষয়েই আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও বিনিময় এখন অনেক গুরুত্বপূর্ণ৷

আগুন দিয়ে আগুন নেভানোর প্রশিক্ষণ

পর্তুগিজ ফায়ার ম্যানেজমেন্ট কর্মকর্তা ক্রিস্টিনা আজুরারা বলেন, ‘‘অতীতে যেভাবে আগুন ব্যবহার করা হত সেই কৌশল শিখেছেন এই নারীরা৷ আমাদের পূর্বপুরুষেরা চারণভূমি পুনরায় ব্যবহারের উপযোগী করতে এবং দাহ্য পদার্থ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় হিসাবে আগুন ব্যবহার করতেন৷ এখানে নারীরা ঐতিহ্যবাহী সেই কৌশলগুলোই শিখেছেন৷''

তবে এই প্রশিক্ষণটি শুধু কীভাবে আগুন লাগাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে হয়, তা শেখানোর চেয়েও বেশি কিছু৷ এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে - তাদেরকে এই ধরনের কাজে পথিকৃৎ করে তোলা হচ্ছে৷

প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া মেক্সিকোর অংশগ্রহণকারী লরা পোন্স বলেন, ‘‘আগুন নেভানোর কাজটা সাধারণত পুরুষরা করে থাকে৷ আমি এমন এক দেশ থেকে এসেছি যেখানে মহিলাদের অংশগ্রহণ সীমিত - সাধারণত অফিসে, অর্থাৎ মাঠ-ময়দান ছাড়া অন্য জায়গায় সীমাবদ্ধ৷ আমরা এই বিষয়টিতে পরিবর্তন আনছি৷ আমরা তত্ত্ব থেকে অনুশীলনের দিকে যাচ্ছি৷ এবং এটা গুরুত্বপূর্ণ৷''

আগুনের উপাদান সম্পর্কে গভীর জ্ঞান নিয়ে এই নারীরা পথিকৃৎ হয়ে উঠছেন৷ তারা বিপর্যয় ঠেকানো, জীবন বাঁচানো ও ভঙ্গুর ইকোসিস্টেম রক্ষার দক্ষতা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন৷

লুকাস লটার্সব্যার্গার/জেডএইচ